Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সাম্প্রতিক কর্মকান্ড

 

ষাটের দশকের শেষ ভাগে অধিক খাদ্য ফলাও আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে গ্রামীণ জনশক্তিকে সংগঠিত করে উন্নত কৃষি ব্যবস্থাপনা, আধুনিক কৃষি পদ্ধতি, সেচ সম্প্রসারণ ইত্যাদির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ড. আকতার হামিদ খাঁন কর্তৃক উদ্ভাবিত বিশ্ব নন্দিত কুমিল্লা মডেলের “দ্বিস্তর সমবায় ব্যবস্থা” যা ১৯৭১ সনে সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি (আইআরডিপি) নামে জাতীয়ভাবে চালু করা হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে কৃষকের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে সারা দেশে আইআরডিপি’কে সম্প্রসারিত করা হয়।  সত্তর থেকে আশির দশক পর্যন্ত কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে একক নেতৃত্বের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের দ্বিস্তর সমবায় পদ্ধতিতে সংগঠিত করে তাঁদের প্রশিক্ষণ, পূঁজি গঠন, বাজারজাতকরন, ঋণ সহায়তা, কৃষি প্রযুক্তি সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে আইআরডিপির ব্যাপক ভূমিকা পালনের কারনে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দিকে অগ্রসর হয়। কৃষি উন্নয়নের পাশাপাশি আইআরডিপি উন্নয়নের স্রোত ধারায় মহিলাদের সম্পৃক্তকরণের জন্য ১৯৭৫ সালে মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচি ও বেকার যুবকদের সৃজনশীল সামাজিক শক্তিতে রূপান্তরের জন্য ১৯৭৮ সালে যুব উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করে। পরবর্তীতে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ মূল্যায়ন সমীক্ষা প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকারের এক অধ্যাদেশ বলে ১৯৮২ সালে আইআরডিপি থেকে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) গঠিত হয়। ১৯৮৮ সাল থেকে বিআরডিবি দিনাজপুর জেলায় সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে আসছে।

আশির দশকে বিআরডিবি দ্বিস্তর সমবায় পদ্ধতির পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক দলের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন, মহিলা উন্নয়ন, যুব উন্নয়ন, গ্রামীণ নেতৃত্বের বিকাশ সাধনসহ পল্লীর জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সম্প্রসারণমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে। আশির ও নব্বই দশকে বিআরডিবি সেচযন্ত্র ঋণের মাধ্যমে সমবায়ী কৃষকদের সেচযন্ত্র বিতরন করে কৃষি উৎপাদনে নব বিপ্লব ঘটায়। আশির দশক থেকে সিডা, ডানিডা, ইউকে, এডিবি, ইউনিসেফ, ইফাদ, ফাও, বিশ্বব্যাংক, নোরাড, ইউএনডিপি, জাইকা ইত্যাদি দাতা সংস্থা বিআরডিবি’র সাথে উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কাজ করে। ১৯৮৬-১৯৯৫ মেয়াদে বিআরডিবি, বার্ড, আরডিএ, বিএইউ, জাইকা ও জাপানের কিয়োটা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে পল্লী উন্নয়নে “লিংক মডেল” নামে একটি টেকসই উন্নয়ন মডেল উদ্ভাবন করা হয় যা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বর্তমান সরকারের উন্নয়ণমূখী কর্মকান্ডের প্রধান উপজীব্য হচ্ছে ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’। সরকারের এ দর্শণ বাস্তবায়নের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি)। বঙ্গবন্ধুর তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে সমগ্র দেশব্যাপী পল্লী নেটওয়ার্ক, দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীবাহিনী, সুবিস্তৃত কার্যক্রম ও প্রায় ৫৩ লক্ষ উপকারভোগী। এ সকল নিয়ামকের সুসংহত ব্যবহার ও কার্যক্রমের আরো উৎকর্ষ সাধন এবং সময়োপযোগী নতুন কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিআরডিবি হতে পারে অন্যতম প্রধান সংস্থা।