Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
সফলতার কাহিনী
ডাউনলোড

দারিদ্র্য জয়ী নাছিমা বেগম 

নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার বাসিন্দা নাছিমা বেগম। তার স্বামী একজন সামান্য দোকানের কর্মচারী। শ্বশুর-শ্বাশুরীসহ ৪ জনের সংসারে তিনি স্বামীর অল্প আয়ে দারিদ্র্যর করাল গ্রাসে বন্দী হয়ে কোন রকম দিনাতিপাত করতেন। অভাব যেন তাদের নিত্য সঙ্গি। স্বামীর পাশাপাশি আয় রোজগার করে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার স্বপ্ন নাছিমা বেগমের বহুদিনের। কিন্তু এ জন্য প্রয়োজন অর্থের। কোথায় পাবেন তিনি অর্থ? এমনি যখন আবস্থা তখন একদিন তিনি পরিচিত হন বিআরডিবি’র মহিলা উন্নয়ন অনুবিভাগ (মউ) এর মাঠ সংগঠক প্রণীতা রাণী  দত্তের সঙ্গে। মাঠ সংগঠকের পরামর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৯৮ সালে  নাছিমা ২০ জন সদস্য নিয়ে মধ্য পলাশ মহিলা সমবায় সমিতি গঠন করেন এবং তিনি দলের ম্যানেজার নির্বাচিত হন। এরপর বিআরডিবি হতে দর্জি বিদ্যার উপর তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। তিনি ঐ বছর বিআরডিবি’র “মউ” হতে প্রথমে ৫০০০/- টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণের অর্থ দিয়ে তিনি একটি সেলাই মেশিন  ক্রয় করেন। সেলাই কাজ করে তিনি নিয়মিত সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করেন এবং শেয়ার-সঞ্চয় জমা করেন। পরবর্তীতে আরো দফায় দফায় ঋণ গ্রহণ করে সেলাই কাজের পাশাপাশি বিদেশী প্রজাতির শোভা বর্ধনকারী বিভিন্ন প্রজাতির পাখি পালন করেন। পাখি বিক্রি থেকে তার মাসিক আয় হত ১২,০০০/- টাকা। 

nasima1 nasima2


নাছিমা বেগম তার অবস্থার বেশ উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে বাড়ীতে স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ও বিশুদ্ধ পানির নলকূপ স্থাপন করেছেন। বাড়ীর ছাদে তিনি বিভিন্ন ফলের গাছ লাগিয়ে পরিবারের চাহিদা মেটাচ্ছেন এবং বাজারজাত করে বেশ সফলতা অর্জন করেছেন। এছাড়াও তিনি তার স্বামীকে শাড়ী-কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য একটি দোকান কিনে দিয়েছেন। নিজের এবং স্বামীর আয় দিয়ে তাদের সংসারে এখন স্বচ্ছলতা এসেছে। নিজের কর্মতৎপরতা, অধ্যাবসায়, চেষ্টা আর কঠোর অনুশীলনে তিনি সাফল্যের যে স্বাক্ষর রেখেছেন তা সত্যই অনুকরণীয়। বিআরডিবি’র সহযোগীতায় দারিদ্র্যতাকে জয় করে নাছিমা বেগম এখন বনায়ন, পরিবার পরিকল্পনা, গনশিক্ষা এবং বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেছেন।